Newchecker.in is an independent fact-checking initiative of NC Media Networks Pvt. Ltd. We welcome our readers to send us claims to fact check. If you believe a story or statement deserves a fact check, or an error has been made with a published fact check
Contact Us: [email protected]
Fact Check
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে দাবি করা হয়েছে যে, ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল বলেছেন, “এক মাসের মধ্যে আমার মা বাংলাদেশে আপনাদের মাঝে ফিরে আসবেন।”
এমন দাবিতে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে এবং এখানে।
বিষয়টির সত্যতা যাচাই করার জন্য ভিডিওটি থেকে প্রাপ্ত ইমেজ রিভার্স সার্চের মাধ্যমে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের (WHO SEARO) এর ইউটিউব চ্যানেলে গত ২৮ এপ্রিল ‘A Month After The Myanmar #Earthquakes’ শিরোনামে আপলোডকৃত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।
ভিডিওটির সঙ্গে আলোচিত দাবির কিছু মিল থাকলেও, সেটিতে যে বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে তা ভিন্ন প্রসঙ্গে দেওয়া। ভিডিওতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক সায়মা ওয়াজেদকে মায়ানমারের ভূমিকম্প পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে দেখা যায়। তিনি বলেন, ভূমিকম্পের এক মাস পর দেশটিতে ২৪ লাখেরও বেশি মানুষ স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে। বর্ষা মৌসুম ঘনিয়ে আসায় ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া ও পানিবাহিত রোগের মতো সংক্রামক রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বাড়ছে। এর মধ্যে চিকিৎসা সেবা ও প্রয়োজনীয় ওষুধের ঘাটতি প্রকট হয়ে উঠেছে। যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) সহায়তা দিচ্ছে, তা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। একটি বড় ধরনের স্বাস্থ্য সংকট এড়াতে জরুরি ভিত্তিতে অতিরিক্ত অর্থায়নের প্রয়োজন রয়েছে।
অর্থাৎ, সায়মা ওয়াজেদের এই বক্তব্যের সাথে শেখ হাসিনার বর্তমান অবস্থান কিংবা তাঁর বাংলাদেশে ফিরে আসা নিয়ে কোনো সম্পর্ক নেই। ভিডিওতে শুধুমাত্র মায়ানমারের ভূমিকম্প-পরবর্তী স্বাস্থ্য সংকট নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এটি রাজনৈতিক প্রসঙ্গে নয়, বরং একটি মানবিক ও স্বাস্থ্যসংক্রান্ত বিষয়ে প্রদত্ত বক্তব্য।
সুতরাং, মায়ানমারের সাম্প্রতিক ভূমিকম্পের পর সৃষ্ট স্বাস্থ্য সংকট নিয়ে সায়মা ওয়াজেদের দেওয়া বক্তব্যের একটি ভিডিওকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করে তা শেখ হাসিনার দেশে ফেরা প্রসঙ্গে তার বক্তব্য হিসেবে প্রচার করা হয়েছে—যা সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা।
Our Sources
WHO Website
WHO YouTube
Rifat Mahmdul
September 4, 2025
Sayeed Joy
August 29, 2025
Sayeed Joy
June 5, 2025