গত ৪ই ফেব্রুয়ারি তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তে ঘটে যায় ভয়াবহ ভূমিকম্প। তুরস্কের ভূমিকম্পের ঘটনার পরবর্তী উদ্ধারকাজ চলছে বর্তমানে।
সম্প্রতি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একাধিক ব্যবহারকারীরা তুরস্ক ভূমিকম্পের ধ্বংসস্তুপ থেকে উদ্ধারকৃত একটি শিশুর ছবি দিয়ে বিভিন্ন পোস্ট দিয়ে থাকে। পোস্টগুলো দেখুন ফেসবুক, ফেসবুক, ফেসবুক ও টিকটক।
ছবি গুলো এই-
প্রায় প্রতিটি পোস্টেই দাবী করা হয় শিশুটিকে সম্প্রতি তুরস্কের ভূমিকম্প পরবর্তী এক ধ্বংসস্তুপ থেকে প্রায় ১১২ ঘন্টা পর উদ্ধার করা হয়। একই সাথে দাবী করা হয় শিশুটি অলৌকিকভাবে বেচে ছিলো এবং তুরস্কের একটি টিভি চ্যানেলে শিশুটি সাক্ষাৎকারে বলে যে তাকে সাদা কাপড় পড়া কেউ একজন এসে খাবার ও পানি দিয়ে যাচ্ছিলো এতদিন।
Fact Check
নিউজচেকার বাংলাদেশ, এই তথ্যের অনুসন্ধান করে দেখেছে যে তুরস্কের ভূমিকম্পের ধ্বংসস্তুপ থেকে উদ্ধারকৃত শিশুর ছবিটি সাম্প্রতিক ভূমিকম্পের নয়। পোস্টে থাকা শিশুর ছবিটি গুগুল রিভার্স ইমেজ সার্চ এর সাহায্যে খোজ নিয়ে দেখা যায় যে ছবিটি প্রায় ৩ বছর পুরোনো।
উদ্ধারকৃত শিশুর এই ছবিটি ২০২০ সালের তুরস্কের ইজমির প্রদেশে হওয়া ভূমিকম্পের পরবর্তী উদ্ধারকাজের। তৎকালীন সময়ে ছবিটি তুরস্ক সহ বিভিন্ন দেশের মূল ধারার সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ করে প্রতিবেদন করা হয়ে থাকে।
মূল ছবি এই-
মূল প্রতিবেদন গুলো দেখুন এখানে- INDIGO, Washington Post, Independent & AA .
মূল প্রতিবেদন গুলো থেকে যে তথ্য পাওয়া যায় তা অনেকটা এমন-
২০২০ সালে তুরস্কের ইজমির প্রদেশে ঘটে যাওয়া এক ভূমিকম্পের ঘটনার প্রায় ৯১ ঘন্টা পর ৩ নভেম্বর,২০২০ মঙ্গলবার সকালে Ayda Gezgin নামের এক শিশুকে উদ্ধারকর্মীরা ধ্বংসস্তুপ থেকে উদ্ধার করে থাকে। প্রতিবেদন অনুযায়ী শিশুটির বয়স ৪ বছর।
উদ্ধারকার্যের একটি ভিডিও এই লিংকে ।
Conclusion:
অতএব সামাজিক মাধ্যে প্রকাশিত উদ্ধারকৃত শিশুর ছবিটি সাম্প্রতিক ভূমিকম্পের ঘটনার নয়। বরং এটই তিন বছর আগে ২০২০ সালে ৩০ অক্টোবর তুরস্কের ইজমিরে হওয়া ভূমিকম্পের চিত্র।
Result:Missing Context
Our Sources:
INDIGO https://archive.ph/wip/i4vWI
The Washington Post https://archive.ph/wip/kQ6TK
Independent https://archive.ph/wip/xm214
AA https://archive.ph/wip/g7FIX
সন্দেহজনক কোনো খবর ও তথ্য সম্পর্কে আপনার প্রতিক্রিয়া জানাতে অথবা সত্যতা জানতে আমাদের লিখে পাঠান [email protected]। এছাড়াও আমাদের সাথে Contact Us – ফর্মের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারেন।