Claim- হৃদয় হত্যার দুই আসামীর ফাসি কার্যকর হয়েছে
Fact- আসামীদের জবানবন্দী নেয়া হয়েছে কেবল। এবং একজন আসামী স্থানীয়দের গণপিটুনির শিকার হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।
‘হৃদয় হত্যার আসামীদের দুইজনের ফাসি কার্যকর হয়েছে’ দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টিকটকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (দেখুন এখানে- টিকটক টিকটক টিকটক টিকটক) একটি পোস্ট প্রচারিত হচ্ছে। বলা হচ্ছে হৃদয়ের হত্যার সাথে জড়িত দুইজন আসামীর ফাসির আদেশ কার্যকর করেছে আদালত। সম্প্রতি উপজাতী বন্ধুদের হাতে কলেজ ছাত্র হৃদয়ের নিহত হওয়ার ঘটনায় সরব হয়ে আছে গণ মাধ্যমসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। গত ২৮ আগস্ট চট্টগ্রামের রাউজানে কলেজ ছাত্র হৃদয়কে অপহরণ করে উপজাতিরা। এর প্রায় ১৪ দিন পর অপহৃতের দেহবাশেষ পাওয়া যায়। অভিযুক্তদের ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পোস্টটির স্ক্রিনশট দেখুন এখানে-
নিউজচেকার-বাংলাদেশ যাচাই করে দেখছে যে দাবিটি মিথ্যা।
Fact check/ Verification
গুগল কি-ওয়ার্ড সার্চ এর সাহায্যে জানা যায় কলেজ ছাত্র হৃদয় হত্যার দায়ে এই পর্যন্ত ৫ জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয় যাদের মধ্যে মুল আসামী উমং চিং মারমা স্থানীয়দের হাতে গণপিটুনির শিকার হয়ে মারা যায়। বাকি ৪ জনের মধ্যে তিনজনই ইতিমধ্যে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দী দিয়েছে। কিন্তু কারোরই ফাসির আদেশ আসে নি। প্রতিবেদন দেখুন এখানে- কালের কণ্ঠ।
ভাইরাল ভিডিওটির প্রথম অংশে হৃদয় ও তার উপজাতির বন্ধুদের সাথে তোলা একটি সেলফি দেখা যায় যার ঠিক নিচের অংশেই অপর একটি ক্লিপে একজন সাংবাদিককে ফাসির রায় কার্যকর করা হয়েছে বলতে শোনা যায়। লক্ষ্য করলে শোনা যায় সংবাদকর্মী ঘটনাস্থল হিসেবে রাজশাহী কারাগারের নাম উল্যেখ করছেন। ভিডিওটি লক্ষ্য করলে চ্যানেল ২৪ এর লোগোও স্পষ্ট। অনুসন্ধান করে জানা যায় উল্লেখিত ঐ ভিডিও প্রতিবেদনটি ২৭ জুলাই ২০২৩ এর মহিউদ্দিন ও জাহাঙ্গীর নামের দুইজন ফাসির আসামির ফাসির আদেশ কার্যকর করার তথ্য দিচ্ছে, হৃদয় হত্যার আসামীর নয়। মুল ভিডিও দেখুন এখানে- চ্যানেল ২৪।
বিভিন্ন প্রতিবেদন থেকে জানা যায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভুতত্ত্ব বিভাগের প্রফেসর ড: তাহের হত্যা মামলায় ফাসির সাজাপ্রাপ্ত দুইজন আসামী মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দীন ও জাহাঙ্গীর আলমের ফাসির আদেশ কার্যকরের ঘটনার, হৃদয় হত্যার নয়। দেখুন এখানে- কালবেলা।
Conclusion:
সুতরাং, হৃদয় হত্যার আসামীদের ফাসির আদেশ কার্যকর করার দাবিতে ভাইরাল পোস্টটি মিথ্যা।
Result: False
Our Sources:
কালের কণ্ঠ , কালবেলা, চ্যানেল ২৪
সন্দেহজনক কোনো খবর ও তথ্য সম্পর্কে আপনার প্রতিক্রিয়া জানাতে অথবা সত্যতা জানতে আমাদের লিখে পাঠান [email protected] অথবা whatsapp করুন- 9999499044 এই নম্বরে। আমাদের whatsapp চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এখানে ক্লিক করে।এছাড়াও আমাদের সাথে Contact Us -র মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারেন ও ফর্ম ভরতে পারেন।