Newchecker.in is an independent fact-checking initiative of NC Media Networks Pvt. Ltd. We welcome our readers to send us claims to fact check. If you believe a story or statement deserves a fact check, or an error has been made with a published fact check
Contact Us: [email protected]
Politics
Claim-সাকিবের ব্যারিস্টার সুমনকে মারতে যাওয়ার ঘটনা নিয়ে সরব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।
Fact-প্রকৃতপক্ষে সাকিব-সুমনের দ্বন্দের বিষয়টি সাম্প্রতিক নয়। সাম্প্রতিক সময়ে তা নতুন করে গুজব করে প্রচার করা হচ্ছে।
‘সাকিব-আল হাসান ব্যারিস্টার সুমনকে মারতে গিয়েছে,’ ‘সাকিব সুমনের কাছে ক্ষমা চেয়ছে’ সহ নানাবিধ দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে বেশ কিছু ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওগুলোর মুল কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে ব্যারিস্টার সুমনকে সাকিবের মারতে উদ্যত হওয়ার ঘটনা। পোস্টগুলো দেখুন এখানে- টিকটক, টিকটক, টিকটক, টিকটক, টিকটক, টিকটক, টিকটক, টিকটক, টিকটক ও টিকটক।
নিউজচেকার-বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে দাবিগুলো মিথ্যা।
গুগল কি-ওয়ার্ড সার্চ ও রিভার্স ইমেজ সার্চ এর সাহায্যে অনুসন্ধান করে দেখা যায় ভাইরাল ভিডিওগুলোতে করা দাবিগুলোর কোনটিই সঠিক নয়।
ব্যারিস্টার সুমন ও ক্রিকেটার সাকিব-আল হাসানকে নিয়ে গত বছর মার্চ মাসে গণ মাধ্যমে একটি প্রতিবেদন আসে যেখানে বলা হয় ব্যরিস্টার সুমনকে দেখে সাকিব-আল হাসান মারতে উদ্যত হন। এমনকি ব্যারিস্টার সুমনও এ বিষয়ে তার এক ফেসবুক ভিডিওতে কথা বলেন। এরপরে একাধিকবার এ বিষয়ে ব্যারিস্টার সুমন কথা বললেও সাকিব-আল হাসান কোন আলোচনা তুলে আনেন নি এই বিষয়ে।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনে অংশ নেন ব্যারিস্টার সুমন ও সাকিব আল হাসান উভয়ই। সাকিব আল হাসান নৌকা প্রতীকে জয়ী হন এবং সুমন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ঈগল প্রতীকে বিশাল ব্যবধানে জয়ী হন। আর নির্বাচনে উভয়ের জয়ের পরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে তাদের মধ্যকার পুরনো বিতর্ককে নতুন করে ছড়ানো হয়।
সাকিব আল হাসান ব্যারিস্টার সুমনের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন দাবিতে কিছু ভিডিও ভাইরাল হয় দেখুন এখানে ও এখানে।
ভাইরাল ভিডিওগুলোতে সাকিবের একটি ভিডিও ব্যবহার করা হচ্ছে যেখানে সাকিবকে ক্ষমা চাইতে দেখা যায়। অনুসন্ধানে সাকিবের ক্ষমা চাওয়ার ভিডিওটির মুল ভিডিও ইউটিউব চ্যানেলে পাওয়া যায়। দেখুন এখানে। ভিডিও ডেস্ক্রিপশন থেকে জানা যায় ভিডিও ২০২০ সালের ১৬ই মার্চ আপলোড করা হয় তথা ভিডিওটি ব্যারিস্টার সুমনের সাথে বিতর্কে জড়ানোর অনেক পুর্বেই তৈরি করা হয়। ভিডিওটি পর্যালোচনা করে দেখা যায় উক্ত ভিডিওতে সাকিব দুটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। প্রথমত, এক ভক্তের ফোন ভাঙ্গা ও দ্বিতীয়ত পুজা মন্ডপ উদ্বোধনের অভিযোগের বিষয়ে।
অপরদিকে আরো কিছু ভিডিওতে দাবি করা হচ্ছে এমপি হওয়ার পর অর্থাৎ ব্যারিস্টার সুমনকে আবারও মারতে আসেন সাকিব-আল হাসান। দেখুন এখানে, এখানে ও এখানে। যাচাই করে দেখা যায় ভিডিওগুলো সাম্প্রতিক সময়ে নির্বাচনের পরপরই পোস্ট করা হলেও মুল ফুটেজ ১০ মাস পুরনো। প্রথম দুটি ভিডিওতে যমুনা টিভির প্রতিবেদন এর ফুটেজ ব্যবহার করা হয় এবং তৃতীয় ভিডিওতে কালবেলা’র একটি ভিন্ন প্রতিবেদনের ভিডিও ব্যবহার করা হয়। ভিডিওগুলোর প্রতিটিই গত বছর মার্চ মাসে আপলোড করা হয়।
অপর একটি পোস্টে দাবি করা হয় ব্যারিস্টার সুমনকে মারার দায়ে সাকিবের আট বছরের জেল হয়। প্রকৃতপক্ষে এই দাবিটিও মিথ্যা। ভিডিওতে ব্যারিস্টার সুমনকে আট বছরের জেল কথাটি উল্লেখ করতে শোনা যায়। কি-ওয়ার্ড সার্চ এর সাহায্যে জানা যায় আট বছরের জেল এর ঘটনাটি ৪ বছর পুর্বে ওসি মোয়াজ্জেম এর বিরুদ্ধে আদালতের আট বছরের জেল ও ১০ লাখ টাকা জরিমানার রায় নিয়ে কথা বলার সময়ের। এই মামলায় ব্যারিস্টার সুমন বাদি হয়ে মামলা লড়েন।
সুতরাং, ব্যারিস্টার সুমন ও সাকিব আল হাসানকে জড়িয়ে সাম্প্রতিক সময়ে ভাইরাল হওয়া দাবিগুলো মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
Our Sources:
যমুনা টিভি, কালবেলা , Shakib Al Hasan-YouTube, ওসি মোয়াজ্জেম এর বিরুদ্ধে আদালতের আট বছরের জেল ও ১০ লাখ টাকা জরিমানা
সন্দেহজনক কোনো খবর ও তথ্য সম্পর্কে আপনার প্রতিক্রিয়া জানাতে অথবা সত্যতা জানতে আমাদের লিখে পাঠান [email protected] অথবা whatsapp করুন- 9999499044 এই নম্বরে। আমাদের whatsapp চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এখানে ক্লিক করে।এছাড়াও আমাদের সাথে Contact Us -র মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারেন ও ফর্ম ভরতে পারেন।