Newchecker.in is an independent fact-checking initiative of NC Media Networks Pvt. Ltd. We welcome our readers to send us claims to fact check. If you believe a story or statement deserves a fact check, or an error has been made with a published fact check
Contact Us: [email protected]
Fact Check
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে দাবি করা হয়েছে — উপদেষ্টা নাহিদের গ্রামের বাড়ির পিছনে একটি ছোট পুকুর থেকে পুলিশ গোপন তথ্যের ভিত্তিতে চার ব্যাগ ভর্তি টাকা উদ্ধার করেছে। ভিডিওতে দেখা যায়, পানির উপর ভাসমান একটি ব্যাগ দেখে কেউ একজন পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে চারটি ব্যাগ উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত টাকাগুলোর মোট পরিমাণ ছিল ৩ কোটি ৫১ লাখ ৭২ হাজার টাকা। ধারণা করা হচ্ছে, কেউ ওই পুকুরে এই বিপুল পরিমাণ টাকা ফেলে রেখে গেছে।
এমন দাবিতে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে এবং এখানে।
বিষয়টির সত্যতা যাচাই করতে ভিডিও থেকে সংগৃহীত কী-ফ্রেম রিভার্স ইমেজ সার্চ করা হয়। এতে দেখা যায়, ‘Chttimes.com’ নামের একটি ফেসবুক পেজে গত ২৩ মে তারিখে একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। এই ভিডিওটির সঙ্গে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির তুলনা করলে দুটির মধ্যে উল্লেখযোগ্য সাদৃশ্য লক্ষ্য করা যায়।
ভিডিওটি সম্পর্কে উক্ত ফেসবুক পোস্টে উল্লেখ করা হয়েছে: “আবুল খায়ের টোব্যাকো কোম্পানি লিমিটেডের টাকা লুটের ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২২ মে) বান্দরবান জেলা পুলিশের দুঃসাহসিক অভিযানে মাটি খুঁড়ে আগ্নেয়াস্ত্র, তাজা বুলেট, ধারালো ছুরি, কাটার এবং নগদ ৭০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। অভিযানে প্রধান মাস্টারমাইন্ডকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।”
পরবর্তীতে, বিভিন্ন মূলধারার গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা যায়, আবুল খায়ের টোব্যাকো কোম্পানি লিমিটেডের টাকা লুটের ঘটনায় বান্দরবানের লামায় পুলিশের ধারাবাহিক অভিযানে অস্ত্র, গোলাবারুদ, ধারালো অস্ত্র, ডাকাতির সরঞ্জাম এবং বিভিন্ন ধাপে প্রায় ৫২ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। প্রথমে ‘নয়া দিগন্ত’ পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২২ মে লামা পৌরসভার সিলেটি পাড়ায় মাস্টারমাইন্ড আব্দুল করিমের বাড়ির পাশে মাটি খুঁড়ে অস্ত্র ও নগদ টাকা উদ্ধার করা হয় এবং মোট আটজনকে আটক করা হয়।
এছাড়া, ‘প্রথম আলো’র ১৭ মে প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় যে, ৮ মে রাতে আবুল খায়ের টোব্যাকো কোম্পানির কার্যালয়ে ডাকাতির ঘটনায় প্রায় ১ কোটি ৭৩ লাখ টাকা লুট হয়। তবে এসব প্রতিবেদনের কোথাও সাবেক উপদেষ্টা ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের সংশ্লিষ্টতার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি এবং উদ্ধার অভিযানের স্থানটিও তার বাড়ি ছিল এমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
সুতরাং, সাবেক উপদেষ্টা ও এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের গ্রামের বাড়ি থেকে প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়েছে — এই দাবিটি ভিত্তিহীন ও মিথ্যা।
Our Sources
Chttimes
Naya Diganta
Prothom Alo
Sayeed Joy
July 10, 2025
Sayeed Joy
July 7, 2025
Sayeed Joy
July 4, 2025