Newchecker.in is an independent fact-checking initiative of NC Media Networks Pvt. Ltd. We welcome our readers to send us claims to fact check. If you believe a story or statement deserves a fact check, or an error has been made with a published fact check
Contact Us: [email protected]
Fact Check
Claim– বাংলাদেশ পুলিশ জোর করে একটি হিন্দু শিশুকে কালিমা পড়াচ্ছে।
Fact– পুলিশ শিশুটিকে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় আটক করে এবং শিশুটি হিন্দু নয়।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স(টুইটার) এ একটি ভিডিও শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে, বাংলাদেশে একটি হিন্দু শিশুকে জোর করে পুলিশ কালিমা পড়িয়ে মুসলিম বানানো হচ্ছে। ভিডিওটির ক্যাপশনে উল্লেখ আছে- “এটা জবরদস্তি নয় তো কী? বাংলাদেশে একটি ছোট হিন্দু শিশুকে জোর করে কালেমা পাঠ করানো হচ্ছে। পেছনে আওয়াজ আসছে— ‘লা ইলাহা’, আর সামনে পুলিশ দাঁড়িয়ে আছে। মৌলভির আদেশে সবকিছু চলছে।” ভিডিওটি দেখুন এখানে।
নিউজচেকার যাচাই করে দেখেছে দাবিটি মিথ্যা।
বাংলাদেশে একটি শিশুকে জোর করে কালেমা পাঠ করানোর দাবিতে ভাইরাল হওয়া এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করতে গিয়ে কী-ফ্রেম ব্যবহার করে রিভার্স ইমেজ সার্চ করলে ১৮ জুলাই ২০২৫ তারিখে একটি দেশিয় নিউজ আউটলেটের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি রিপোর্ট পাওয়া যায়। এই রিপোর্টে ভাইরাল ভিডিওর সাথে মিলে যাওয়া দৃশ্য ছিল। ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভি।
রিপোর্টে বলা হয়েছিল যে, কিছুদিন আগে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল, যাতে চাপাইনবাবগঞ্জ সদর পুলিশ স্টেশনের ওসি মতিউর রহমানকে একটি শিশুর হাত ধরে থাকতে দেখা গেছে। এছাড়া, অন্যান্য অফিসারদের শিশুটির চুল টানতে দেখা গেছে। ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর সদর পুলিশ স্টেশনের ওসি মতিউর রহমান ঘটনার ব্যাখ্যা দিয়ে জানান যে, এই ঘটনাটি ৬ জুলাই ২০২৫ তারিখে এনসিপি নেতাদের পদযাত্রার সময় ঘটেছিল এবং শিশুটিকে মাদক রাখার অপরাধে আটক করা হয়েছিল। সে এনসিপি নেতাদের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করছিল, তাই পুলিশ বাধ্য হয়ে শিশুটিকে সরিয়ে দেয়।
তদন্তে আমরা আরও একটি নিউজ আউটলেটের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত রিপোর্ট পাই। এই রিপোর্টেও বলা হয়েছিল যে, চাপাইনবাবগঞ্জে এনসিপি নেতাদের পদযাত্রার সময় একটি শিশুকে মাদক রাখার অপরাধে আটক করা হয়েছিল। পরে পুলিশ সদস্যরা শিশুটিকে সেখান থেকে সরিয়ে দেয়। ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওয়াসিম ফিরোজও শিশুটিকে অপসারণের পদ্ধতি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে বলেন যে, শিশুটি মাদকের প্রভাবে ছিল। প্রতিবেদন দেখুন এখানে- নাগরিক ।
আমরা আমাদের তদন্তে চাপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার ওসি মতিউর রহমানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ভাইরাল দাবি খণ্ডন করে বলেন যে, ১৩ বছর বয়সী উক্ত শিশুটি হিন্দু নয়, বরং মুসলিম। ভিডিওতে থাকা ছেলেটি নাবালক হওয়াত তার বিস্তারিত বিবরণ তথা নাম, পিতার নাম ও ঠিকানা গোপন রাখা হলো।
সুতরাং, ভাইরাল ভিডিওতে থাকা শিশুটি হিন্দু নয়।
আমাদের তদন্তে প্রাপ্ত প্রমাণ থেকে এটি স্পষ্ট যে, বাংলাদেশের চাপাইনবাবগঞ্জের এই ঘটনায় জড়িত শিশুটি হিন্দু নয় এবং তাকে মাদক রাখার অভিযোগে পুলিশ সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল।
Our Sources:
ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভি & নাগরিক ।
Telephonic conversation with OC- Chapainawabganj Sadar Thana
Rifat Mahmdul
July 23, 2025
Rifat Mahmdul
July 22, 2025
Rifat Mahmdul
July 17, 2025