Claim- ড. মুহাম্মদ ইউনুস তত্ত্বাবধায়ক সরকার হচ্ছেন
Fact- ড মুহাম্মদ ইউনুসকে ঘিরে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিগুলো ভিত্তিহীন
‘ড. মুহাম্মদ ইউনুস হচ্ছেন আগামী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান’ এরূপ নানাবিধ দাবিতে সরব হয়ে আছে সোশ্যাল মিডিয়াগুলো। কোনটিতে দাবি করা হচ্ছে ৩১ সদস্যের দলের প্রধান হয়ে অক্টবোর থেকে তত্ত্বাবধায়ক এর দায়িত্ব পালন করবেন ড ইউনুস আবার কোনটিতে দাবি করা হচ্ছে ৩ বছরের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন ড. ইউনুস। কোন কোনটিতে প্রথম আলোর আদলে নিউজকার্ড তৈরি করে সংবাদ আকারে প্রকাশ করা হচ্ছে দাবিটিকে। কোন কোন দাবিতে এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের সরকার ও বাংলাদেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের নামও। পোস্টগুলো দেখুন এখানে- টিকটক, টিকটক,টিকটক,টিকটক,টিকটক, ফেসবুক, ফেসবুক, ফেসবুক, ইউটিউব, ইউটিউব ও ইউটিউব।\
নিউজচেকার-বাংলাদেশ যাচাই করে দেখছে দাবিটি মিথ্যা।
Fact check/Verification
গুগল কি-ওয়ার্ড এর সাহায্যে অনুসন্ধান করে ড মুহাম্মদ ইউনুসের তত্ত্বাবধায়ক সরকার হওয়ার কোন তথ্য প্রমাণ মিলে নি। এছাড়াও ভাইরাল পোস্টগুলোতে থাকা প্রথম আলোর নিউজকার্ডটি নকল নিশ্চিত করে তাদের ফেসবুক পেইজে একটি পোস্ট দেয়।
আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বর্তমান সময়ের একটি হট টপিক। একে ঘিরে প্রায়ই নানারূপ আলোচনার পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ফেইক নিউজের ছড়াছড়ি ইদানিংকালে একটি নিয়মিত ব্যপার হয়ে দাড়িয়েছে। ফেসবুকের পাশাপাশি টিকটকেও এই বিষয়টি নিয়ে বেশ সক্রিয় কিছু ব্যবহারকারীরা। একই সাথে ড. মুহাম্মদ ইউনুসও নানাবিধ আইনী জটিলতার দরুন মাঝে মাঝেই মিডিয়ায় আলোচনায় আসছেন।
গত ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর। গত ২২ই আগস্ট ২০২৩ তারিখে ড. মুহাম্মদ ইউনুসের বিরুদ্ধে এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হলে তিনি আবার আলোচনায় আসেন। মুলত এর পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ড. মুহাম্মদ ইউনুসকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার করার এই ভুয়া তথ্য ব্যপক হারে ছড়িয়ে পরে। এই ঘটনা চলাকালীন ড. ইউনুসের বিচার স্থগিত চেয়ে বিশ্বজুড়ে ১৬০ নেতার খোলা চিঠি আসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে। পরবর্তীতে এই অপতথ্য ছড়ানোর হার আরও বেড়ে যায়।
উল্লেখ্য আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন একটি নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের তথা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে করার জন্য বিরোধী দলগুলো নিয়মিত আন্দলোন করে আসছে। অপরদিকে, ২০১১ সালেই সংবিধান থেকে এই ব্যবস্থার বিলুপ্তি ঘোষণা করা হয়। সংবিধানে দেখুন এখানে। এছাড়াও বর্তমান সরকার এখন পর্যন্ত এই ব্যপারে কোন আলোচনায় যায় নি। বরং তত্ত্বাবধায়ক সরকার সংবিধান বিরোধী এবং এই ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা সম্ভব না বলে নানা সময়ে বিবৃতি দিয়ে এসেছে।
Conclusion
সুতরাং, ড. মুহাম্মদ ইউনুসকে নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের ভাইরাল দাবিটি মিথ্যা।
Result: False
Our Sources:
Prothom Alo Online, ১৬০ নেতার খোলা চিঠি , তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল
শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা
সন্দেহজনক কোনো খবর ও তথ্য সম্পর্কে আপনার প্রতিক্রিয়া জানাতে অথবা সত্যতা জানতে আমাদের লিখে পাঠান [email protected]। এছাড়াও আমাদের সাথে Contact Us – ফর্মের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারেন।