Claim
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক এবং টিকটকে একটি তথ্য প্রচার করে দাবি করা হচ্ছে রবিবার থেকে বন্ধ হচ্ছে টিকটক। এমন দাবিতে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে এবং এখানে।
Fact
বিষয়টির সত্যতা যাচাই করতে কী-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম-এর ওয়েবসাইটে গত ১৫ জানুয়ারি রোববার থেকে যুক্তরাষ্ট্রে বন্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে টিকটক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুজে পাওয়া যায়।
প্রতিবেদন থেকে জানা যায় যে, টিকটকের চীনা মালিকানা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণে অ্যাপটির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট যদি নিষেধাজ্ঞা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ না করে, তাহলে ফেডারেল নিষেধাজ্ঞা আইন অনুসারে রোববার থেকে মার্কিন ব্যবহারকারীদের জন্য টিকটক বন্ধ করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এর ফলে নতুন ব্যবহারকারীদের জন্য অ্যাপটি ডাউনলোড করা নিষিদ্ধ হবে। তবে, যারা ইতোমধ্যে অ্যাপটি ব্যবহার করছেন, তারা কিছু সময়ের জন্য তা চালিয়ে যেতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ লস এ্যাঞ্জেলেস এ আগুন নিভানোর জন্য আজান দেয়া হচ্ছে ভাইরাল দাবিটি সত্য নয়
প্রসঙ্গত, গত এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্রে পাস হওয়া একটি নতুন আইন অনুসারে, ২০২৫ সালের ১৯ জানুয়ারির মধ্যে টিকটকের যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কার্যক্রম বিক্রি করার জন্য প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন একটি আইন স্বাক্ষর করেছেন। প্রতিষ্ঠানটি যদি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তাদের কার্যক্রম কোনো মার্কিন প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করতে ব্যর্থ হয়, তবে টিকটকের ওপর দেশব্যাপী নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে।
পরবর্তীতে, আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের ওয়েবসাইটে “TikTok prepares to shut down app in US on Sunday, sources say” শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়।
উক্ত প্রতিবেদনেও একই তথ্য খুজে পাওয়া যায়। পাশাপাশি একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত সংবাদেও একই চিত্র উঠে এসেছে দেখুন এখানে এবং এখানে।
অর্থাৎ, রবিবার থেকে টিকটক বন্ধের বিষয়ে পোস্টগুলোতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রসঙ্গ উল্লেখ না থাকায়, অনেক ব্যবহারকারী ঘটনাটি বাংলাদেশ সংক্রান্ত ভেবে বিভ্রান্ত হয়েছেন।
সুতরাং, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আইনি জটিলতার কারণে টিকটক বন্ধের বিষয়টি নাম উল্লেখ না করে ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে, যা বিভ্রান্তিকর তথ্য তৈরি করেছে।
Result: Partly False
Our Sources
Reuters
Aljazeera
BBC News
bdnews24
যে কোন বিষয়ের সত্যতা জানতে, মতামত অথবা অভিযোগ প্রদানে আমাদের ই-মেইল করুন এই ঠিকানায়- [email protected]. এছাড়াও ভিজিট করুন আমাদের Contact Us পেইজটি এবং নির্দিষ্ট ফর্মটি পূরণ করুন।