Claim- NID কার্ড থাকলেই দিতে হবে ২০০০ টাকা কর।
Fact- NID কার্ড নয়, TIN কার্ড থাকলে কর সীমার আয় না থাকলেও দিতে হবে ২০০০ টাকা।
“NID কার্ড থাকলেই দিতে হবে ২০০০ টাকা কর” দাবিতে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে বেশ কিছু জায়াগায় একটি পোস্ট ভাইরাল হয়। পোস্টগুলো দেখুন এখানে- ফেসবুক, ফেসবুক, টিকটক, টিকটক ও টিকটক। পোস্টগুলোর স্ক্রিনশট দেখুন এখানে-
নিউজচেকার-বাংলাদেশ দাবিটি যাচাই করে দেখছে দাবিটি মিথ্যা।
Factcheck/Verification
গুগল কি-ওয়ার্ড সার্চ এর সাহায্যে অনুসন্ধান করে এমন কোন তথ্য পাওয়া যায় নি। মূলত গত বৃহস্পতিবার (১লা জুন) ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের জন্য বাজেট ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এটি স্বাধীন বাংলাদেশের ৫২ তম বাজেট যার পরিমাণ ৭,৬১,৭৮৫ কোটি টাকা। সংসদে বাজেট ঘোষণার এক পর্যায়ে করযোগ্য আয়সীমার বহির্ভুত ব্যক্তিদেরকেও করের আওতায় আনার প্রস্তাব রাখেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। প্রতিবেদন দেখুন এখানে- দ্যা ডেইলি স্টার, প্রথম আলো, বিবিসি বাংলা।
অর্থাৎ, যাদের ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার বা (TIN) সার্টিফিকেট রয়েছে আর যারা সরকারের থেকে নির্দিষ্ট কিছু সেবা নিয়ে থাকবে তাদের করযোগ্য আয় না থাকলেও বছরে কর দিতে হবে ন্যুনতম ২০০০৳। সাথে আয়কর রিটার্নের প্রমাণপত্রও জমা দিতে হবে। নির্দিষ্ট সেবার মধ্যে রয়েছে মোট ৩৮ ধরণের সেবা।যথা-
১. ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ৫ লাখ টাকার বেশি ঋণের আবেদন করতে
২. কোনো কোম্পানির পরিচালক কিংবা স্পনসর শেয়ারহোল্ডার হতে
৩ আমদানি ও রপ্তানি নিবন্ধন সনদ পেতে
৪. সিটি করপোরেশন বা পৌর এলাকায় ট্রেড লাইসেন্স প্রাপ্তি বা নবায়ন করতে
৫. সমবায় সমিতির নিবন্ধন প্রাপ্তি
সহ আরো ৩৩টি সেবা। ন্যুনতম এই কর আদায় না করলে কোন TIN-ধারী ব্যক্তি নিতে পারবেন না এই ৩৮ ধরণের সেবা। তালিকা দেখুন এখানে।
প্রসঙ্গত, পররাষ্ট্র মন্ত্রী আব্দুল মোমেন এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বলেন জাতীয় পরিচয় পত্র থাকলে আমি কর আদায়ের পক্ষে। তবে এটি নিতান্তই তার মতামত কোন আইন নয়। প্রতিবেদন দেখুন এখানে- প্রথম আলো।
Conclusion:
সুতরাং, এন আই ডি থাকলেই ২০০০ টাকার কর দিতে হবে তথ্যটি মিথ্যা। তবে কর শনাক্তকারী সার্টিফিকেটধারীদের নির্দিষ্ট কিছু সেবা নিতে হলে ২০০০ টাকার কর দিতে হতে পারে।
Result: False
Our Sources:
দ্যা ডেইলি স্টার, প্রথম আলো, বিবিসি বাংলা।
প্রথম আলো
সন্দেহজনক কোনো খবর ও তথ্য সম্পর্কে আপনার প্রতিক্রিয়া জানাতে অথবা সত্যতা জানতে আমাদের লিখে পাঠান [email protected]। এছাড়াও আমাদের সাথে Contact Us – ফর্মের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারেন।