Claim
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগিরকে শহীদ মিনারে ঢুকতে দেয়া হয়নি
Fact
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগির ২০ ফেব্রুয়ারিতে হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরেন এবং প্রচারিত ছবিগুলো ২০১৮ সালের
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কিছু ছবি প্রচার করে তাকে শহীদ মিনারে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি দাবি করা হচ্ছে। ফেসবুকে প্রচারটি পোস্টে হবুহু দাবি করা হয়েছে “একুশ মানে অন্য দলের মহাসচিবকে শহীদ মিনারে ঢুকতে না দেওয়া। কারণ দেশটা তো তার বাপের“। ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে এবং এখানে।
নিউজচেকার যাচাই করে দেখেছে দাবিটি মিথ্যা।
Fact-Check/Verification
বিষয়টির সত্যতা যাচাই করতে কি-ওয়ার্ড সার্চ পদ্ধতি ব্যবহার করে মূলধারার সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলোর’ অনলাইন সংস্করণে ২০২৩ সালের ২০শে ফেব্রুয়ারিতে “‘মির্জা ফখরুল হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন’” শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। প্রতিবেদন হতে জানা যায় ২০ ফেব্রুয়ারি শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি হাসপাতালে ভর্তি থেকে বাসায় ফিরেছেন এবং তাকে কয়েকদিন বিশ্রাম নিতে হবে
এছাড়া, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ যমুনা টিভির ইউটিউব চ্যানেলে “শহীদ মিনারের মতো স্থানকেও দলবাজির কেন্দ্রে পরিণত করেছে সরকার” শিরোনামের একটি প্রেস রিলিজ খুঁজে পাওয়া যায়। প্রেস রিলিজটিতে সেদিনের বিভিন্ন অসংগতি তুলে ধরা হয় কিন্তু তাদেরকে ফুল দিতে দেওয়া হয়নি সেই সম্পর্কে কোনো তথ্য বলেননি মির্জা ফখরুল।
পাশপাশি বিএনপির সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অ্যাকাউন্টগুলোতেও মির্জা ফখরুলের শাহীদ মিনারে ফুল দেওয়ার কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া ছবির সত্যতা যাচাই করতে রিভার্স ইমেজ সার্চ করে ২০১৮ সালের ২১ এ ফেব্রুয়ারিতে একজন ব্যক্তির ফেসবুক পোস্টে হবুহু একই ছবি খুঁজে পাওয়া যায়।
পরবর্তীতে, ২০১৮ সালের ২১ ফেব্রুয়ারিতে যুগান্তরে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন একই রঙ এর পাঞ্জাবি, ব্যাজ পরিধান করতে দেখা যায় মির্জা ফখরুলকে। এটি হতে নিশ্চিত হওয়া যায় ছবিগুলো ২০১৮ সালের।
Conclusion
২০১৮ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে কাগজ বিছিয়ে মেঝেতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এর বসার ছবিকে এবছর একুশে ফেব্রুয়ারিতে শহীদ মিনারে ঢুকতে দেয়া হয়নি দাবিতে প্রচার করা হয়।
Result: False
সন্দেহজনক কোনো খবর ও তথ্য সম্পর্কে আপনার প্রতিক্রিয়া জানাতে অথবা সত্যতা জানতে আমাদের লিখে পাঠান [email protected]। এছাড়াও আমাদের সাথে Contact Us – ফর্মের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারেন।