Claim- মাওলানা মামুনুল হককে ছেড়ে দিতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী
Fact- মামুনুল হককে ছেড়ে দেওয়ার ব্যপারে কোন মন্তব্য করেননি প্রধানমন্ত্রী, সময় টিভিকে কোন সাক্ষাৎকারও দেননি তিনি।
সম্প্রতি টিকটকে বাংলাদেশের ইসলামী বক্তা ও হেফাজতে ইসলাম এর যুগ্ন মহাসচিব “মামুনুল হকের মুক্তির কথা বলেছেন প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা” এমন একটি দাবী করে পোস্ট করা হয়।
পোস্টটি দেখুন এখানে- টিকটক।
নিচে স্ক্রিনশট দেখুন-
নিউজচেকার-বাংলাদেশ, উক্ত পোস্টটির সত্যতা যাচাই করে দেখেছে যে, সংশ্লিষ্ট দাবীটি মিথ্যা।
মামুনুল হক বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত ইসলামী বক্তা, লেখক ও ইসলামী রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছিলেন। তিনি বাংলাদেশ হেফাজত ইসলামের বিলুপ্তি কমিটির যুগ্ন মহাসচিবের দায়িত্বও পালন করছিলেন।
মামুনুল হককে সরকার বিরোধী আন্দোলন, নাশকতা ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় নানা সময়ে বেশ কিছু মামলার অভিযুক্ত করা হয়।
সর্বশেষ, ৩ এপ্রিল ২০২১ সালে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাও থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। দেখুন এখানে- সমকাল।
Fact Check/ Verification:
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম টিকটকে আজ ৩ মার্চ একটি পোস্টে সময় টিভির ফেসবুক পোর্টালের একটি স্ক্রিনশট দিয়ে বলা হয় প্রধানমন্ত্রী সময় টিভির এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “তাকে (মামুনুল হককে) ছেড়ে দেয়ার ব্যবস্থা করা হোক। আবার আদালতে শুনানি হোক। যদি অপরাধ না করে থাকে তাহলে তাকে ছেড়ে দিব।”
নিউজচেকার-বাংলাদেশ গুগল কি-ওয়ার্ড সার্চ এর সাহায্যে সময়টিভির সকল সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ও অনলাইন সংস্করণ ঘেটে এমন কোন তথ্য বা বক্তব্য’র অস্তিত্ব পায় নি।
সময় টিভির বিভিন্ন সংস্করণ দেখুন এখানে- সময় নিউজ ফেসবুক, সময় নিউজ ইউটিউব সময় নিউজ
শুধু সময় নিউজ নয়, মামুনুল হকের সম্পর্কে কোথাও-ই প্রধানমন্ত্রীর এমন কোন বক্তব্য পাওয়া যায় নি।
মামুনুল হক সংক্রান্ত প্রতিবেদন সমুহ দেখুন এখানে- সমকাল, প্রথম আলো ও জাগোনিউজ২৪।
দেশের জাতীয় গণ মাধ্যম অনুযায়ী মামুনুল হকের সর্বশেষ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে এখনো।
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ন মহাসচিব মামুনুল হক সক্রিয় রাজনীতির সুবাদে বিভিন্ন সময়ে বেশ কিছু মামলার আসামী হন। সর্বশেষ ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল তাকে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাও এর এক রিজোর্ট থেকে এক নারীসহ আটক করা হয়।
দৈনিক সমকালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে নারীসহ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলায় এক রিসোর্ট থেকে আটক করেছে পুলিশ। তবে ওই নারীকে দ্বিতীয় স্ত্রী বলে দাবি করেছেন মামুনুল হক।
বর্তমানে এই মামলার দায়ে মামুনুল হক জেলে আটক আছেন। মামলার সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে জানা যায়, কথিত “স্ত্রীর” “ধর্ষণ” মামলায় আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে।
প্রথম আলো তাদের এক প্রতিবেদনে বলে, গত ১৫ই ফেব্রুয়ারি ২০২৩-এ হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে তাঁর কথিত “স্ত্রীর” “ধর্ষণ” মামলায় আরও তিন পুলিশ কর্মকর্তা আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। আজ বুধবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের (জেলা জজ) নাজমুল হক শ্যামলের আদালতে সাক্ষ্য দেন তাঁরা।
মামুনুল হকের মামলার সর্বশেষ পরিস্থতি সংক্রান্ত প্রতিবেদন দেখুন- প্রথম আলো, সময় নিউজ , ও জাগোনিউজ২৪।
এই মামলার প্রেক্ষিতে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে এই পর্যন্ত আটবার সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয় আদালতে।
Conclusion:
সুতরাং, মামুনুল হককে ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের দাবীটি মিথ্যা।
Result: False
Our Sources:
somoyNews- https://www.facebook.com/somoynews.tv
Prothom Alo- https://www.prothomalo.com/topic/%E0%A6%AE%E0%A6
Samakal- https://samakal.com/tag/%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%9
Jagonews24- https://www.jagonews24.com/country/news/833414
সন্দেহজনক কোনো খবর ও তথ্য সম্পর্কে আপনার প্রতিক্রিয়া জানাতে অথবা সত্যতা জানতে আমাদের লিখে পাঠান [email protected]। এছাড়াও আমাদের সাথে Contact Us – ফর্মের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারেন।