Newchecker.in is an independent fact-checking initiative of NC Media Networks Pvt. Ltd. We welcome our readers to send us claims to fact check. If you believe a story or statement deserves a fact check, or an error has been made with a published fact check
Contact Us: [email protected]
Fact Check
Claim– বরিশালে জনতা সচিবালয়ের দুই ট্রাক নথি আটকে দেয়।
Fact– আটক করা ২ ট্রাক নথি সচিবালয়ের নয়, বরং বরিশাল শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের।
বরিশালে জনগণ ২ ট্রাক ভর্তি সচিবালয়ের নথি আটক করে দাবিতে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে একটি পোস্ট ভাইরাল হয়। পোস্টগুলোতে উল্লেখ করা হয় সচিবালয়ের নথিগুলো ট্রাক ভর্তি করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিলো। এ সময় এলাকাবাসী ট্রাকগুলো আটকে দেয়। এলাকাবাসির ধারণা করে নথিগুলো পুড়িয়ে দেওয়ার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিলো। ঘটনাটি সচিবালয় ভবনে আগুন লাগার পরপরই ঘটে। ভাইরাল পোস্টগুলো দেখুন এখানে, এখানে, এখানে ও এখানে।
নিউজচেকার যাচাই করে দেখেছে দাবিটি মিথ্যা।
বরিশালে সচিবালয়ের নথি আটক দাবিতে ভাইরাল পোস্টগুলোর সত্যতা যাচাই করতে আমরা একাধিক প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ পরিচালনা করি। অনুসন্ধানে বরিশালে নথি আটক সংক্রান্ত একাধিক প্রতিবেদন সামনে আসে। প্রতিবেদনগুলো থেকে জানা যায় আটককৃত নথিগুলো সচিবালয়ের নয়, বরং বরিশাল শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের পুরাতন নথি।
প্রতিবেদন দেখুন এখানে- জাগো নিউজ, চ্যানেল ২৪ , যমুনা টিভি।
গত ২৭ ডিসেম্বর চ্যানেল ২৪ ‘সচিবালয়ের নথি সন্দেহে দুই ট্রাক পুরাতন নথি আটকে দিয়েছে বরিশালের স্থানীয়রা’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনটি লাইভ সম্প্রচার করা হয়। প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বরিশালের কাগাসুরা বাজারে রাতে স্থানীয়রা ২ ট্রাক ভর্তি ফাইলপত্র নিয়ে যেতে দেখে। স্থানীয়রা নথিগুলো পুড়িয়ে দেয়ার বিষয়ে শুনতে পায়। তখন তারা নথিগুলোকে সচিবালয়ের নথিপত্র হতে পারে সন্দেহে ট্রাক দুটিকে আটক করে।
উল্লেখ্য ২৬ ডিসেম্বর সচিবালয়ে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। দেখুন এখানে- যমুনা টিভি, ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভি।
প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বরিশালের শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম জানান, নথিগুলো সচিবালয়ের নয়, বরং শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের দুই দশক পুরাতন নথি। যা অপ্রয়োজনীয় হওয়াতে শহরের ময়লার ভাগাড়ে ফেলতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিলো। কিন্তু দায়িত্বরতরা স্থানটি চিনতে না পেরে কাগাসুরা বাজারে নিয়ে যায়।
অর্থাৎ, বরিশালে আটকে দেয়া ট্রাক দুটিতে সচিবালয়ের কোন নথি ছিলো না, বরং বরিশাল শহরের শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের দুই দশক পুরাতন নথিপত্র।
বরিশালের কাগাসুরা বাজারে আটকে দেয়া ট্রাকগুলোতে যে নথিপত্র ছিলো তা সচিবালয়ের নথি সন্দেহে স্থানীয়রা আটক করলেও পরবর্তীতে জানা যায় নথিপত্রগুলো বরিশাল শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের দুই দশক পুরাতন অপ্রয়োজনীয় নথি। বিষয়টি নিশ্চিত করেন বরিশাল শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম। সুতরাং, ভাইরাল দাবিগুলো মিথ্যা।
Our Sources:
জাগো নিউজ, চ্যানেল ২৪ , যমুনা টিভি।
Rifat Mahmdul
January 17, 2025
Rifat Mahmdul
August 6, 2024
Rifat Mahmdul
November 20, 2023