Newchecker.in is an independent fact-checking initiative of NC Media Networks Pvt. Ltd. We welcome our readers to send us claims to fact check. If you believe a story or statement deserves a fact check, or an error has been made with a published fact check
Contact Us: [email protected]
Fact Check
শিক্ষিকা মেহেরীন চৌধুরীর শেষ বক্তব্য
আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স (এআই) দিয়ে তৈরি ওই ভিডিওটিকে উত্তরার মাইলস্টোনে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত শিক্ষিকা মেহেরীন চৌধুরীর শেষ বক্তব্য হিসেবে প্রচার করা হয়েছে
রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ীতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হলে আগুন ধরে যায়। সেই আগুনের লেলিহান শিখার মধ্যে থেকে ছোট ছোট শিক্ষার্থীদের বাঁচাতে গিয়ে মারাত্মকভাবে দগ্ধ হন প্রতিষ্ঠানটির বাংলা বিভাগের শিক্ষিকা মেহেরীন চৌধুরী। পরে তাকে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়া হলে, আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যম টিকটকে প্রচারিত একটি ভিডিওতে মেহেরীন চৌধুরীর মতো দেখতে এক নারীকে মাইক্রোফোন হাতে বলতে শোনা যায়, “আমি মেহেরীন চৌধুরী আপনাদের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, যদি আপনাদের সন্তানদের কিছু হয় তবে আপনাদের আমার ওপর দিয়ে যেতে হবে। আপনার সন্তানদের রক্ষার দায়িত্বও আমাদের। বিপদে-আপদে তাদের পাশে সবসময় থাকব।”
এমন দাবিতে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে।
ভাইরাল ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করতে প্রাসঙ্গিক কিছু কী-ওয়ার্ড সার্চ করে ‘Rashed Khan’ নামের একটি ফেসবুক প্রোফাইলে ২২ জুলাই মেহেরীন চৌধুরীর বক্তব্য দেওয়ার একটি ভিডিও পাওয়া যায়।
এই ভিডিওতেও তাকে মাইক্রোফোন হাতে বক্তব্য দিতে দেখা যায়, আর পেছনের ব্যক্তির অবস্থানও আলোচিত ভিডিওর সঙ্গে মিলে যায়। তবে দুটি ভিডিওর মধ্যে বেশ কিছু পার্থক্যও চোখে পড়ে। যেমন—মেহেরীন চৌধুরীর পোশাকের নকশা এক হলেও রঙ আলাদা, আলোচিত ভিডিওটি তুলনামূলকভাবে আরও পরিষ্কার এবং কণ্ঠস্বরেও মিল নেই। এছাড়া, রাশেদ খানের ভিডিওতে তাকে আলোচিত ভিডিওর মতো কোনো বক্তব্য দিতে শোনা যায়নি।
এসব দিক বিশ্লেষণ করলে বোঝা যায়, আসল ভিডিও ব্যবহার করেই এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে আলোচিত ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে। তাছাড়া, গণমাধ্যম কিংবা কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে মেহেরীন চৌধুরীর এমন বক্তব্যের অস্তিত্বও মেলেনি।
পরবর্তীতে অধিকতর যাচাইয়ের জন্য ভিডিওটি ডিপফেক শনাক্তকারী টুল ‘ডিপফেক-ও-মিটার’-এর ‘AVSRDD (2025)’ এবং ‘LIPINC (2024)’ মডেলের মাধ্যমে পরীক্ষা করা হয়। বিশ্লেষণে দেখা যায়, ভিডিওটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) দিয়ে তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা যথাক্রমে ৯৯ এবং ১০০ শতাংশ—যা এটি একটি ডিপফেক ভিডিও হওয়ার ব্যাপারে নিশ্চিত ধারণা দেয়।
সুতরাং, আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স (এআই) দিয়ে তৈরি ওই ভিডিওটিকে উত্তরার মাইলস্টোনে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত শিক্ষিকা মেহেরীন চৌধুরীর শেষ বক্তব্য হিসেবে প্রচার করা হয়েছে—যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ।
Our Sources
BD Pratidin
Rashed Khan Facebook Post
Deepfake-o-meter