Claim
সকল মুসলিম ভাইদেরকে এখন থেকে গুগল এবং ইউটিউব দেখা বন্ধ করার অনুরোধ করা হচ্ছে কারণ হল্যান্ডে ইসলাম বিরোধী একটি ফিল্ম রিলিজ হয়েছে। ওলামায়ে কেরাম তিনদিন গুগল ও ইউটিউব ব্যবহার না করার কথা বলেছেন কারণ গুগল ও ইউটিউব নিষিদ্ধ করেছে। ব্লক করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে , তাই এটি ব্যবহার না করলে তাদের প্রায় ২১০ মিলিয়ন ডলার ক্ষতি হবে।
Fact
সম্প্রতি হল্যান্ডে (বর্তমান নেদারল্যান্ডস) এমন কোনো ফিল্ম রিলিজ দেয়া হয়নি এবং উক্ত দাবিতে তথ্যটি বেশ কয়েক বছর ধরে প্রচার হয়ে আসছে ‘ইনোসেনস অফ মুসলিম’ নামের ফিল্মের জন্য যেটি ২০১৪ সালে ইউটিউব থেকে সড়ানো হয়েছে।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টিকটকে একটি পোস্ট প্রচার করে দাবি করা হয়েছে ‘এখন থেকে গুগল এবং ইউটিউব দেখা বন্ধ করার অনুরোধ করা হচ্ছে কারণ হল্যান্ডে ইসলাম বিরোধী একটি ফিল্ম রিলিজ হয়েছে। ওলামায়ে কেরাম তিনদিন গুগল ও ইউটিউব ব্যবহার না করার কথা বলেছেন কারণ গুগল ও ইউটিউব নিষিদ্ধ করেছে। ব্লক করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে, তাই এটি ব্যবহার না করলে তাদের প্রায় ২১০ মিলিয়ন ডলার ক্ষতি হবে’। এই দাবিতে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে।
নিউজচেকার-বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে দাবিটি মিথ্যা।
Fact-Check/Verification
উক্ত তথ্যটি অনুসন্ধান করে দেশীয় কিংবা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে সাম্প্রতিক সময়ে হল্যান্ডে (বর্তমান নেদারল্যান্ডস) এমন কোনো ফিল্ম রিলিজ হওয়ার কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি।
পরবর্তীতে মার্কিন গণমাধ্যম এনবিসি নিউজের ওয়েবসাইটে ২০১৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারী “ইউটিউব থেকে “Google Ordered to Take Down ‘Innocence of Muslims’ Film From YouTube” শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।
মূলত, ২০১২ সালে ইনোসেন্স অব মুসলিম সিনেমার ট্রেইলার প্রকাশিত হয় যাতে ইসলাম ধর্ম ও হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে অপমানজকভাবে প্রদর্শন করা হয়। এতে সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা এই ভিডিওর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায়। বাংলাদেশ সহ বেশ কয়েকটি দেশে ইউটিউব বন্ধ করে দেওয়া হয়।
Read More: নবীজিকে জেলে পাঠানোর কথা বলেছেন মির্জা আব্বাস? ভাইরাল ভিডিওটি সম্পাদিত
পূর্বে যে ট্রেইলার ভিডিও সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তা ট্রেইলার পুনরায় ইউটিউবে দেখানোর অনুমতি দেয় যুক্তরাষ্ট্রের আদালত। ফেডারেল আপিল আদালতের রায়ের একদিন পরেই ২০১৫ সালের ১৯ মে পুনরায় ট্রেইলার ভিডিওটি ইউটিউবে পোস্ট করা হয়। তারপর থেকে এই প্রেক্ষিতে “ইনোসেনস অফ মুসলিম” পূর্ণাঙ্গ সিনেমা রিলিজ হওয়ার মিথ্যা দাবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এটি নিয়ে সে সময়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিলো যাচাই এবং রিউমর স্ক্যানার।
Conclusion
বেশ কয়েক বছর ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হয়ে আসা ইসলামকে অবমাননা করা ফিল্ম রিলিজ হওয়ার দাবিটি নতুন ভাবে প্রচার করা হয়েছে যা সম্পুর্ণ মিথ্যা।
Result: False
Our Sources
NBC News
The Daily Star
The Guardian
সন্দেহজনক কোনো খবর ও তথ্য সম্পর্কে আপনার প্রতিক্রিয়া জানাতে অথবা সত্যতা জানতে আমাদের লিখে পাঠান [email protected] অথবা whatsapp করুন- 9999499044 এই নম্বরে। আমাদের WhatsApp চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এখানে ক্লিক করে।এছাড়াও আমাদের সাথে Contact Us -র মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারেন ও ফর্ম ভরতে পারেন।