Claim
১৫০ কেজি ওজনের গলদা চিংড়ি
Fact
বিশালাকৃতির এই চিংড়ির ছবিটি বাস্তব নয় বরং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এবং টিকটকে একটি ছবি প্রচার করে দাবি করা হচ্ছে এটি ১৫০ কেজি ওজনের গলদা চিংড়ি। ফেসবুক এবং টিকটকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে এবং এখানে
নিউজচেকার-বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে দাবিটি মিথ্যা।
Fact-Check/Verification
বিষয়টির সত্যতা যাচাই করতে শুরুতে ছবিটিকে রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে আমরা অনুসন্ধান করলে কোনো বিশ্বাসযোগ্য তথ্যসূত্রে এটি বাস্তব ছবি উল্লেখ করে কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে ছবিটি জুম করে পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে দেখা যায় মাছের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তিদের হাতের আঙুল মানুষের বাস্তব হাতের আঙুলের মত নয় যা অসংলগ্ন হাত ইঙ্গিত করে। এবং এধরণের ছবি সচরাচর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি দ্বারা তৈরিকৃত ছবিতে লক্ষ্য করা যায়।
পরবর্তীতে, বিশ্বের সবচেয়ে বড় চিংড়ি মাছের সম্পর্কে অনুসন্ধান করে গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের ওয়েবসাইটে এখন পর্যন্ত ধরা পড়া সবচেয়ে বড় আকৃতির ক্রাস্টেসিয়ান প্রাণীর রেকর্ডটি রয়েছে আমেরিকান লবস্টার নিয়ে জানা যায়। গিনেজ বুকের তথ্যমতে, ১৯৭৭ সালে ধরা পড়া পৃথিবীর বৃহত্তম ক্রাস্টেসিয়ানের ওজন রেকর্ড করা হয়েছিল ২০.১৪ কেজি বা ৪৪ পাউন্ড। অর্থাৎ ১৫০ কেজি ওজনের গলদা চিংড়ির এই তথ্যটি সঠিক নয়।
উল্লেখ্য এই ভাইরাল ছবিটিকে ফ্যাক্টচেক করে দেশি-বিদেশি একাধিক ফ্যাক্টচেকাররা মিথ্যা হিসাবে সাব্যস্ত করেছে দেখুন এখানে।
Conclusion
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি করা একটি ছবিকে সমুদ্রে পাওয়া বিশাল ১৫০ কেজি ওজনের গলদা চিংড়ি দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে প্রচার করা হয়েছে যা সম্পুর্ণ মিথ্যা।
Result: False
Our Sources
Guiness Book of World Records
সন্দেহজনক কোনো খবর ও তথ্য সম্পর্কে আপনার প্রতিক্রিয়া জানাতে অথবা সত্যতা জানতে আমাদের লিখে পাঠান [email protected]। এছাড়াও আমাদের সাথে Contact Us – ফর্মের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারেন।