Newchecker.in is an independent fact-checking initiative of NC Media Networks Pvt. Ltd. We welcome our readers to send us claims to fact check. If you believe a story or statement deserves a fact check, or an error has been made with a published fact check
Contact Us: [email protected]
Fact Check
সম্প্রতি একটি টিকটক ভিডিও দাবি করে, লেক ন্যাট্রনের পানি এতটাই লবণাক্ত যে তার সংস্পর্শে সব কিছু পাথর হয়ে যায়, এবং এই হ্রদটি পৃথিবীর অন্যতম একটি মারাত্নক স্থান যেখানে মানুষ যেতে পারে না।
ডেডলি প্লেসেস অন আর্থ দেট ইউ কেন্নট ভিসিট (Deadly Palces On Earth That You Cannot Visit),” এই শিরেনামে ভিডিওটি টিকটকে আপলোড করা হয় ১৯শে জানুয়ারী, ২০২২ এবং এরই মধ্যে ভিডিও ৩৬৪ হাজারবার `লাইক` করে টিকটক ব্যবহারকারীরা।
নিউজচেকার যাচাই করে দেখে যে, এই দাবিটি আংশিক মিথ্যা।
Fact Check/ Verification
টিকটক ভিডিওতে দেখে মনে হয় যেন জীবন্ত প্রাণীরা অবিলম্বে পাথরে পরিণত হয়েছে। এবং মৃত্যুর আগে তাদের অবস্থান এমনটাই ছিলো। কেউ সাঁতরে বেড়াচ্ছিলো, কোন পাখি শুকনো ডালে বসে অপেক্ষায় ছিল, এবং এই পাখিরা এভাবেই মৃত্যু বরণ করে।
ভিডিওটির বিভিন্ন কী-ফ্রেম সার্চ করে দেখা যায়, ভিডিওটিকে ব্যবহৃত ছবিগুলো তুলেছেন ব্রিটিশ আলোকচিত্রি নিক ব্র্যান্ডট। ছবিগুলো দেখে মনে হয় যেন জীবন্ত প্রাণীরা অবিলম্বে পাথরে পরিণত হয়েছে ৷ এমন সব দৃশ্যের ছবিগুলো নিক ব্র্যান্ডের ২০১৩ সালে প্রকাশিত ট্রিলজি বই “অ্যাক্রোস দ্যা রেভেজড ল্যান্ড” এ প্রকাশিত হয় যা বইটির তৃতীয় এবং শেষ খণ্ডের পূর্ব আফ্রিকার প্রাকৃতিক বিশ্ব এবং প্রাণীদের নথিভুক্ত করে।
লাইভ সায়ন্সে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে, এই ছবিগুলো সম্পর্কে নিকের লেখা কিছু অংশ-বিশেষ থেকে জানা যায়, তিনি লেকের পাশে পড়ে থাকা মৃত প্রানীদের কুঁড়িয়ে পান, এবং পরবর্তীতে তা এমনভাবে লেকের পানিতে সেই মৃত প্রাণীদের রাখেন যা দেখে জীবন্ত মনে হয়। তিনি যেভাবে প্রাণীদের প্রতিস্থাপন করেছিলেন তা উল্লেখ করে বইটিতে লেখেন “পুনর্জীবিত, মৃত্যুতে আবার জীবিত”।
নিক তার বইতে লিখেছেন, “কেউ নিশ্চিতভাবে জানে না যে তারা কীভাবে মারা যায়, তবে … জলে অত্যন্ত উচ্চমাত্রার সোডা এবং লবণ রয়েছে, যা এত বেশি যে এটি কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে আমার কোডাক ফিল্ম বাক্স থেকে কালি তুলে ফেলতে পারবে।”
ন্যাট্রন লেকের পানিতে ক্ষারের মাত্রা পিএইচ ১০.৫ এবং এটি এতটাই দগ্ধকারক যে প্রাণীদেহের ত্বক এবং চোখ পুড়িয়ে ফেলতে পারে। জলের ক্ষারত্ব আসে সোডিয়াম কার্বনেট এবং অন্যান্য খনিজ থেকে যা পার্শ্ববর্তী পাহাড় থেকে হ্রদে প্রবাহিত হয়। একসময় মিশরীয় মমিকরণে সোডিয়াম কার্বনেটের ব্যবহৃত হয়েছিল। অর্থাৎ, সেইসব প্রাণী যারা লেক ন্যাট্রনে প্রাণ হারায় তাদের দেহ সংরক্ষণকারী হিসাবে কাজ করে – এই নাট্রন লেকের পানি।
প্রকৃতপক্ষে, লেক ন্যাট্রনের ক্ষারীয় লবণ জলাভূমি, মিঠা পানির জলাভূমি, এবং অন্যান্য জলাভূমির পাখি, ফ্ল্যামিঙ্গো, তেলাপিয়া এবং শৈবালের একটি সমৃদ্ধ বাস্তুতন্ত্রকে বাঁচিয়ে রাখে। এছাড়াও, খাদ্যের জন্য ফ্ল্যামিঙ্গোদের বড় ঝাঁক বাসা বাঁধে এই লেকে।
এছাড়াও ব্যবস্থা আছে লেক ন্যাট্রনে বেড়াতে যাওয়ার। বিভিন্ন ভ্রমণ প্যাকেজে লেকটি ঘুড়ে আসতে পারবেন যেকোন ব্যাক্তি। অর্থাৎ, জায়গাটি মানুষের জন্য মারাত্মক না। লেকটি সাধারণ পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত
জীবন্ত দেখতে মৃত প্রাণীগুলো লেক ন্যাট্রনের পানির সংস্পর্শে পাথরে রূপান্তরিত হয়নি। মৃত প্রাণীদের অপ্রত্যাশিতভাবে লেকটির পাশে কুঁড়িয়ে পান আলোকচিত্রি নিক ব্র্যান্ডট এবং পরবর্তীতে তা লেকের পানিতে প্রতিস্থাপন করেন যা দেখে প্রাণীগুলো জীবন্ত মনে হয়। এবং এই লেকে মানুষ যেতে পারবেন না – এই ধারণাটিও ভুল।
Tiktok: https://www.tiktok.com/@tcezy/video/7054862846626237698
Nick Brandt Official Website: https://www.nickbrandt.com/on-this-earth-trilogy/across-the-ravaged-land-(2010-2012)/
Live Science:
https://www.livescience.com/40135-photographer-rick-brandt-lake-natron.html
https://www.livescience.com/40134-image-album-late-natron-gives-up-her-dead.html
Safari: https://www.safaribookings.com/tours/natron
Youtube: https://www.youtube.com/watch?v=Ut82bMaHwiM
সন্দেহজনক কোনো খবর ও তথ্য সম্পর্কে আপনার প্রতিক্রিয়া জানাতে অথবা সত্যতা জানতে আমাদের লিখে পাঠান [email protected]। এছাড়াও আমাদের সাথে Contact Us – ফর্মের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারেন।